‘জীবন্ত ত্বকের’ হাস্যোজ্জ্বল রোবট: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নতুন দিগন্ত!
রোবটের জগতে এসেছে বিপ্লব! জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এমন একটি রোবট তৈরি করেছেন যার মুখমণ্ডল মানুষের ত্বকের মতো নরম ও নমনীয়। এই ‘জীবন্ত ত্বকের’ হাস্যোজ্জ্বল রোবট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী অগ্রগতি।
কীভাবে কাজ করে এই রোবট?
- কোলাজেন জেল ও হিউম্যান ডার্মাল ফাইব্রোব্লাস্ট: রোবটের ত্বক তৈরি করা হয়েছে কোলাজেন জেল ও হিউম্যান ডার্মাল ফাইব্রোব্লাস্ট ব্যবহার করে।
- মানুষের ত্বকের অনুকরণ: রোবটের ত্বক মানুষের ত্বকের মতোই নরম, নমনীয় এবং স্থিতিস্থাপক। এটি বাঁকানো, চাপানো এবং এমনকি ছিঁড়েও যাওয়ার পরও আবার নিজেকে মেরামত করতে পারে।
- এআই নিয়ন্ত্রিত পেশী: রোবটের মুখের ভেতরে ছোট ছোট পেশী রয়েছে যা এআই দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই পেশীগুলি সংকুচিত ও প্রসারিত হয়ে রোবটকে বিভিন্ন অভিব্যক্তি তৈরি করতে সাহায্য করে।
![]() |
ছবিঃ ইন্টারনেট |
‘জীবন্ত ত্বকের’ হাস্যোজ্জ্বল রোবটের সুবিধা:
- আরও মানবিক যোগাযোগ: রোবটের মানুষের মতো ত্বক ও অভিব্যক্তি থাকায় মানুষের সাথে আরও স্বাভাবিক ও আবেগপূর্ণভাবে যোগাযোগ করতে পারবে।
- উন্নত রোবোটিকস: এই প্রযুক্তি আরও বাস্তবসম্মত ও কার্যকরী রোবট তৈরিতে সহায়তা করবে।
- চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহার: ‘জীবন্ত ত্বকের’ প্রযুক্তি কৃত্রিম অঙ্গ তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ বিকাশে স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম, বিকাশে স্টুডেন্ট একাউন্ট খুললে ওয়েলকাম বোনাস ১৩০ টাকা
‘জীবন্ত ত্বকের’ হাস্যোজ্জ্বল রোবটের চ্যালেঞ্জ:
- প্রযুক্তিগত জটিলতা: এই প্রযুক্তি এখনও উন্নয়নাধীন এবং এটি তৈরি করা বেশ জটিল ও ব্যয়বহুল।
- নৈতিক প্রশ্ন: ‘জীবন্ত ত্বকের’ রোবটের ব্যবহার নিয়ে কিছু নৈতিক প্রশ্ন উঠেছে, যেমন রোবটের অধিকার এবং মানুষের সাথে তাদের সম্পর্ক।
‘জীবন্ত ত্বকের’ হাস্যোজ্জ্বল রোবট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতে রোবোটিকস, চিকিৎসা এবং আরও অনেক ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাতে পারে।
সূত্র: সিএনএন