টিকটকের নতুন পদক্ষেপ: বাংলাদেশ থেকে ৭২ লক্ষ ভিডিও অপসারণ!
ভূমিকা:
জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৭২ লক্ষ ভিডিও অপসারণ করেছে। টিকটক কর্তৃপক্ষের দাবি অনুযায়ী,কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘনের কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কেন এই পদক্ষেপ?
টিকটকের কমিউনিটি গাইডলাইনে সহিংসতা, ঘৃণামূলক বক্তব্য, শিশু নির্যাতন, এবং ভুল তথ্য ছড়ানোর বিরুদ্ধে নীতিমালা রয়েছে। টিকটক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী, অপসারণ করা ভিডিওগুলো এই নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে।
কীভাবে ভিডিওগুলো চিহ্নিত করা হলো?
আরও পরুনঃ ডার্ক ওয়েব কি? ডার্ক ওয়েব কিভাবে কাজ করে?
আরও পরুনঃ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপের বাজার দর: ২০২৪
আরও পড়ুনঃ যেসব ভুলের কারণে স্মার্টফোনের ক্যামেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়!
আরও পড়ুনঃ কিভাবে বুঝবেন আপনার ফোন ট্র্যাক করা হচ্ছে?
টিকটক স্বয়ংক্রিয় এবং ম্যানুয়াল দুটি পদ্ধতিতে ভিডিওগুলো চিহ্নিত করেছে। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে, মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম ব্যবহার করে সম্ভাব্য ক্ষতিকর বিষয়বস্তু সনাক্ত করা হয়েছে। অপরদিকে, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে, টিকটকের কর্মীরা সন্দেহজনক ভিডিও পর্যালোচনা করেছে।
এই পদক্ষেপের প্রভাব:
টিকটকের এই পদক্ষেপের বেশ কিছু প্রভাব রয়েছে। প্রথমত, এটি প্ল্যাটফর্মটি থেকে ক্ষতিকর বিষয়বস্তু দূর করতে সাহায্য করবে। দ্বিতীয়ত, এটি ব্যবহারকারীদের জন্য টিকটককে আরও নিরাপদ করে তুলবে। তৃতীয়ত, এটি বাংলাদেশ সরকারের সাথে টিকটকের সম্পর্ক আর উন্নত করবে।
উপসংহার:
সব মিলিয়ে, টিকটকের এই পদক্ষেপ ডিজিটাল স্পেসের নীতি, সুরক্ষা এবং মুক্ত বক্তব্যের মধ্যে একটি সূক্ষ্ম ভারসাম্য তৈরি করার চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে।
এই বিষয়ে আপনার মতামত কি?
আপনি কি মনে করেন টিকটক সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে? নাকি তারা আরও বেশি কিছু করতে পারত?