সতর্কতা: এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে।ডার্ক ওয়েব ব্যবহারের জন্য এটি কোনো নির্দেশিকা বা পরামর্শ নয়।(alert-warning)
ডার্ক ওয়েব: গোপন ইন্টারনেটের অদেখা দুনিয়া
ইন্টারনেটের বিস্তৃত দুনিয়া আজকের দুনিয়ার যোগাযোগ, তথ্য আহরণ এবং ব্যবসার খাতকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। কিন্তু এই সুরক্ষিত ও প্রকাশ্য ইন্টারনেটের নীচে আরও একটি দুনিয়া আছে, যা আমরা সাধারণত দেখি না বা জানি না। এই গোপন দুনিয়ার নাম "ডার্ক ওয়েব"।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ডার্ক ওয়েব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো এবং ডার্ক ওয়েবে থেকে নিজেকে কিভাবে সুরক্ষিত রাখবেন সে সম্পর্কে জানবো।
(toc) #title=(একনজরে আর্টিকেলের বিষয়বস্তু)
ডার্ক ওয়েব কি?
ডার্ক ওয়েব ইন্টারনেটের সেই অংশ যা সাধারণ সার্চ ইঞ্জিন যেমন গুগল, বিং, ইয়াহু ইত্যাদির মাধ্যমে অ্যাক্সেস করা যায় না। এটি ডীপ ওয়েবের একটি অংশ, যেখানে কনটেন্ট এবং তথ্যাবলী গোপন থাকে এবং বিশেষ ব্রাউজার ব্যবহার না করলে এগুলিতে প্রবেশ করা যায় না। ডার্ক ওয়েব ইন্টারনেটের একটি গোপন অংশ যা বিশেষ এনক্রিপশন প্রযুক্তি এবং টর (TOR) ব্রাউজার দ্বারা পরিচালিত হয়।
ডার্ক ওয়েব কিভাবে কাজ করে?
আরও পরুনঃ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপের বাজার দর: ২০২৪
আরও পড়ুনঃ যেসব ভুলের কারণে স্মার্টফোনের ক্যামেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়!
আরও পড়ুনঃ কিভাবে বুঝবেন আপনার ফোন ট্র্যাক করা হচ্ছে?
ডার্ক ওয়েবের কার্যক্রম বুঝতে হলে, প্রথমে আমাদের টর (TOR) ব্রাউজারের কার্যক্রম বোঝা দরকার। টর (The Onion Router) একটি বিশেষ ধরনের ব্রাউজার যা ব্যবহারকারীর আইপি ঠিকানা গোপন করে রাখে। টর ব্রাউজার ব্যবহারকারীর তথ্যকে বিভিন্ন সার্ভারের মাধ্যমে এনক্রিপ্ট করে, যার ফলে ব্যবহারকারী এবং তাদের অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাক করা কঠিন হয়ে যায়। এই এনক্রিপশন প্রক্রিয়াকে 'অনিয়ন রাউটিং' বলা হয়।
টর ব্রাউজার যেভাবে কাজ করে:
- এনক্রিপশন স্তর: টর ব্রাউজার ব্যবহারকারীর ডেটা বিভিন্ন এনক্রিপশন স্তরে আবৃত করে। প্রতিটি স্তরে একটি নতুন এনক্রিপশন যোগ করা হয় যা ডেটাকে ট্র্যাক করা আরও কঠিন করে তোলে।
- রিলে নোডস: ডেটা এক সার্ভার থেকে আরেক সার্ভারে পাঠানো হয়। প্রতিটি নোড (রিলে) শুধুমাত্র আগের এবং পরের নোড সম্পর্কে জানে, যার ফলে সম্পূর্ণ পথটি কারো পক্ষে ট্র্যাক করা অসম্ভব হয়ে যায়।
- অ্যানোনিমিটি: এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবহারকারীর পরিচয় এবং অবস্থান গোপন থাকে। ফলে ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ করা এবং এখানে বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো নিরাপদ হয়ে যায়।
ডার্ক ওয়েবের ব্যবহার
ডার্ক ওয়েবের প্রাথমিক ব্যবহার বৈধ এবং অবৈধ উভয়ই হতে পারে। কিছু বৈধ ব্যবহার রয়েছে যেমন:
- গোপনীয়তা: রাজনৈতিক বা সামাজিক সমস্যার সমাধান খুঁজতে গোপনীয়ভাবে যোগাযোগ করা।
- স্বাধীন মতামত: ডার্ক ওয়েবে এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে সরকার বা কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করা হয়।
তবে, ডার্ক ওয়েব প্রায়ই অবৈধ কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন:
- মাদক ব্যবসা: অবৈধ মাদক দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়।
- অস্ত্র বিক্রি: অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা।
- ডেটা হ্যাকিং: হ্যাকিং এবং চুরি করা তথ্য বিক্রি।
- মানব পাচার: মানব পাচারের মতো অপরাধমূলক কার্যক্রম।
ডার্ক ওয়েবের ঝুঁকি:
আরও পড়ুনঃ সি ড্রাইভ ফুল? খালি করবেন যেভাবে
ডার্ক ওয়েব ব্যবহারের সাথে কিছু ঝুঁকিও জড়িত, যার মধ্যে রয়েছে:
- ম্যালওয়্যার: ডার্ক ওয়েবে অনেক ম্যালওয়্যার আক্রান্ত ওয়েবসাইট রয়েছে।
- স্ক্যাম: ডার্ক ওয়েবে অনেক স্ক্যামার রয়েছে যারা লোকেদের প্রতারিত করার চেষ্টা করে।
- আইনি ঝুঁকি: ডার্ক ওয়েবে অবৈধ কার্যকলাপে জড়িত থাকলে আইনি ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হতে পারে।
সুরক্ষা ও সচেতনতা
ডার্ক ওয়েবের বিপদ এবং অবৈধ কার্যক্রমের কারণে এটি ব্যবহার করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি ডার্ক ওয়েব মনিটর করতে এবং এর অবৈধ কার্যক্রম দমন করতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ব্যবহারকারীদেরও সচেতন থাকতে হবে এবং ডার্ক ওয়েবে প্রবেশের সময় সতর্ক থাকতে হবে।
উপসংহার
ডার্ক ওয়েব ইন্টারনেটের একটি জটিল এবং গোপন অংশ যা আমাদের সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহারের বাইরে অবস্থিত। এটি যেমন গোপনীয়তা এবং স্বাধীনতা প্রদান করে, তেমনি এর মাধ্যমে বিভিন্ন অবৈধ কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ার ঝুঁকিও থাকে। প্রযুক্তির এই জগতে আমাদের সাবধান থাকতে হবে এবং সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে যেন এর বিপদ থেকে আমরা বাঁচতে পারি।
দারুণ ❤️
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
মুছুনসেই ত
উত্তরমুছুনধন্যবাদ,আমদের সাথেই থাকুন
মুছুন